সভ্যতা
তোমার রক্তাক্ত দেহ দেখে আমি আঁতকে উঠি,
মাঝরাতে অভুক্ত শিশুর কান্না শুনে আমার রক্ত টগবগিয়ে উঠে প্রতিশোধের আকাঙ্ক্ষায়,
যে দুর্বৃত্তরা মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে লাশের উপত্যকা গড়ে তুলে
তাঁদের শশ্মান রচনায় আমার ভিতরের প্রতিজ্ঞারা সংঘটিত হয়।
সভ্যতা
তোমাকে ষোড়শী ভেবে
যে সব শুকুনেরা তীক্ষ্ণ ঠোঁটের আঘাতে তোমার লাবণ্যেকে খুবলে খায়
তাঁদের এই নগ্ন উল্যাস দেখে আমি আমিও হিংস্র হয়ে উঠি,
ইচ্ছে করে তাঁদের ঘাড় মটকিয়ে দেহ থেকে মস্তক
বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে
আমিও রাক্ষস হয়ে উঠি।
সভ্যতা
তোমার অসহায়ত্ব দেখে আমি কিং কর্তব্য বিমূঢ় হয়ে যাই,
আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি
সারাটা পৃথিবী আজ তোমার বিরোধিতায় নিমগ্ন,
বিজ্ঞানের সমস্ত আবিষ্কার
মানুষের রক্তকেই খুঁজে বেড়ায়,
ধর্মাধর্মের যতো আচার
জাত বিজাত সকলি আজকে ধ্বংসউন্মুক
অনাচার অমানবিকতার কালো চাদরে ঢাকা।
সভ্যতা
তোমাকে আমি খুঁজতে গিয়ে ঘর ছেড়েছি,
তুমি আসবে বলে
সন্ন্যাসিনীর দেহে উঁই পোকারা গড়েছে বসতি,
পৃথিবীর মানচিত্র দেখে মনে হয় কোনো এক অসহায় মানুষের ছেঁড়া ছিন্নভিন্ন জীর্ণ পরিধানের মতো,
তুমি কি এতোই অসহায়
তোমাকে নগ্ন করে পৈশাচিক উন্মক্ততা চরিতার্থ করতে সবাই উঠেপরে লেগেছে?
সভ্যতা
তুমি অন্তত একবার প্রতিবাদী হও,
অন্তত একবার প্রতিরোধের গর্জনে পৃথিবীকে কাঁপিয়ে দাও,
জানান দাও পিশাচদের
যারা তোমার সম্ভ্রম নিয়ে উপহাস করে,
তুমি রণ হুকারে জেগে উঠো
পৃথিবীতে আজকে সেটাই একান্ত প্রত্যাশা।
(আগরতলা ৩০/০৬/২০২৪)